আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলার পর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে এখন প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে।আগামী ২০ জানুয়ারিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে তো বটেই, সারা বিশ্বেও লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের কৌতূহল, সংশয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিভাষায় এই দিনটিকে বলা হয় অভিষেক দিবস। এটি একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, যেখানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ গ্রহণ করবেন।
বিবিসি বাংলা বলছে, ৬ জানুয়ারি বুধবার ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের অধিবেশনের সময় সহিংস হামলার পর এসব প্রশ্ন ও সংশয় আরও জোরালো হয়েছে।
অনেকেই জানতে চাইছেন, ২০ জানুয়ারি কী হবে? সেদিন কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যদি অভিষেক অনুষ্ঠানে ঝামেলা করার চেষ্টা করে? সেদিনের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য এমনিতেই বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আলাদা। ক্যাপিটল হিলে হামলার পর এর গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য এবার বাড়তি নিরাপত্তার কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু বাইডেন যখন শপথ গ্রহণ করবেন, তখনো ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।
ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার কারণে রাজধানীর মেয়র সেখানে এই জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ৬ জানুয়ারি যে ডিসি ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে তারা ৩০ দিন কাজ করবে। এর অর্থ হলো প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যাপিটল পুলিশকে সাহায্য সহযোগিতা করবে এই ন্যাশনাল গার্ড।
অবশ্য বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার নিরাপত্তার বিষয়ে কিংবা অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়েও আমি উদ্বিগ্ন নই।’
তবে জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য গঠিত কমিটির একজন সদস্য সিনেটর এমি ক্লবাচার বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে ওই অনুষ্ঠানে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন ঘটানো হবে। ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় তিনি তখন ওই ভবনের ভেতরেই ছিলেন।
এছাড়া নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি একটি সৌজন্যের বিষয়। এর আগে তিনজন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ছাড়া সবাই নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।
এবারও প্রচলিত সৌজন্যের ব্যতিক্রম ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন না।
‘যারা জিজ্ঞেস করেছেন তাদের জন্য বলছি, ২০ জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার এই টুইট করেছেন।অবশ্য ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘ভালো খবর’ বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন।
ভয়েস/আআ
Leave a Reply